দীর্ঘ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠা অন্তত ৩০ রোগীকে স্বজনদের কাছে ফেরত দিতে পারছে না পাবনা মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য মারা যাওয়া অনেকের দাফন-কাফন হচ্ছে হাসপাতালেই।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তির সময় ভুল ঠিকানা দেওয়া আর স্বজনদের অনাগ্রহের কারণে এই পরিস্থিতি। তাই ঠিকানার সত্যতা যাচাই ছাড়া এখন কাউকে আর ভর্তি করা হচ্ছে না পাবনার মানসিক হাসপাতালে।
৫৬ বছর বয়সী সাইদ হোসেনকে পারিবারের সদস্যরা ৩৬ বছর আগে দিয়ে যান পাবনার মানসিক হাসপাতালে। একইভাবে শাহানা আক্তার ও নাজমা নিলুফার এই হাসপাতালে ভর্তি হন ২৬ বছর আগে, ১৯৯৯ সালে।
দীর্ঘসময়ের চিকিৎসায় এদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও ঠিকানা ভুল থাকায় বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা। এই ধরনের অন্তত ৩০ রোগী নিয়ে বেকায়দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোছা. মল্লিকা খাতুন বলেন, অনেক রোগী যেতে পারছেন না। এদের কোনো ঠিকানা নেই, এ কারণে এখানেই আছে। যাদের ঠিকানা থাকে, তারা তো বাড়িতে চলে যায়।
অবশ্য কয়েকজন রোগী বলছেন, তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে হাসপাতালে এসেছেন, এখন সুস্থ হওয়ার পরও ফেরত নিতে রাজি নয় পরিবার।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে স্থিতিশীলদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছেন তারা।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফকাত ওয়াহিদ বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা ভর্তি করেছেন, তারা হয়তো মারা গিয়েছেন, কেউ কেউ হয়তো বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছেন। এ কারণে তাদের বাড়ি পাঠানো যাচ্ছে না।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, মানসিক সুস্থতার পরও গত ১০ বছরে মারা যাওয়া অন্তত ৬ জনের দাফন-কাফন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সারতে হয়েছে মরদেহ স্বজনরা ফেরত না নেওয়ার কারণে। ১৯৫৮ সাল থেকে চালু হওয়া দেশের বিশেষায়িত এই হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার সমান অর্থাৎ ৫ শ'র মত রোগী ভর্তিও থাকছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তির সময় ভুল ঠিকানা দেওয়া আর স্বজনদের অনাগ্রহের কারণে এই পরিস্থিতি। তাই ঠিকানার সত্যতা যাচাই ছাড়া এখন কাউকে আর ভর্তি করা হচ্ছে না পাবনার মানসিক হাসপাতালে।
৫৬ বছর বয়সী সাইদ হোসেনকে পারিবারের সদস্যরা ৩৬ বছর আগে দিয়ে যান পাবনার মানসিক হাসপাতালে। একইভাবে শাহানা আক্তার ও নাজমা নিলুফার এই হাসপাতালে ভর্তি হন ২৬ বছর আগে, ১৯৯৯ সালে।
দীর্ঘসময়ের চিকিৎসায় এদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও ঠিকানা ভুল থাকায় বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা। এই ধরনের অন্তত ৩০ রোগী নিয়ে বেকায়দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোছা. মল্লিকা খাতুন বলেন, অনেক রোগী যেতে পারছেন না। এদের কোনো ঠিকানা নেই, এ কারণে এখানেই আছে। যাদের ঠিকানা থাকে, তারা তো বাড়িতে চলে যায়।
অবশ্য কয়েকজন রোগী বলছেন, তারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে হাসপাতালে এসেছেন, এখন সুস্থ হওয়ার পরও ফেরত নিতে রাজি নয় পরিবার।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শারীরিক ও মানসিকভাবে স্থিতিশীলদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছেন তারা।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফকাত ওয়াহিদ বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা ভর্তি করেছেন, তারা হয়তো মারা গিয়েছেন, কেউ কেউ হয়তো বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছেন। এ কারণে তাদের বাড়ি পাঠানো যাচ্ছে না।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, মানসিক সুস্থতার পরও গত ১০ বছরে মারা যাওয়া অন্তত ৬ জনের দাফন-কাফন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সারতে হয়েছে মরদেহ স্বজনরা ফেরত না নেওয়ার কারণে। ১৯৫৮ সাল থেকে চালু হওয়া দেশের বিশেষায়িত এই হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার সমান অর্থাৎ ৫ শ'র মত রোগী ভর্তিও থাকছে।